
মানুষের জন্ম ডিম বা কুড়ি থেকে নয়, একজন নারী থেকেই নারী পুরুষের জন্ম হয়। সেই মমতা, শ্রদ্ধাবোধ, থেকে নারীদের অধিকার, আইন একটু বেশিই থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তাই বলে পুরুষকে অসম্মান করে নয়। বাংলাদেশে নারী নির্যাতন আইন অনেকটা এমন যে, কোনো নারী যে কোনো পুরুষের বিরুদ্ধে থানায় নালিশ করলে যাচাই-বাছাই না করেই সাথে সাথেই আসামি গ্রেফতার করে!
অন্য মামলা গুলোতে কিছু প্রক্রিয়াদির পরে গ্রেফতারের অর্ডার হয়। যার পুরোটা ভিন্ন নারী নির্যাতন আইনে, নারী মিথ্যা নালিশ, পুরুষকে ফাঁসানোর জন্য করলেও তদন্তের আগেই পুরুষ অপরাধী! মামলার গতিতে দেখা যায় বেশিরভাগ আসামিই কিছুদিন পর ছাড়া পায়, নারীটির সাথে পুরুষটির আর সম্পর্ক থাকেনা। তাহলে কি দাড়ালো.? সমাধান কি হলো.? আদালত কি এদের এক করতে পারলো!? আইনের সুফল কই.? যেখানে রাষ্ট্র বলছে নারী পুরুষ সমান অধিকার। আইন কি তা বলছে..??বাংলাদেশে জরিপ করলে দেখা যাবে ৮০% পুরুষ নারীদের নির্যাতনের স্বীকার কোনো না কোনো ভাবে। আর্থিক, সামাজিক, মানসিক, পারিবারিক ও শারিরিক বিভিন্ন ভাবে পুরুষ নিঃশেষ হয়। যেখানে পুরুষদের নালিশ করার’ই জায়গা নাই…..অথচ, নারী-শিশুদের সম্মান দেয়া আইনের অপব্যবহার করছে কিছু লোভী নারী। তাদের উৎসাহ দেয় এই সমাজেরই বলিষ্ঠ পুরুষ। আবার মুদ্রার ওপিঠে উৎসাহ দেয়া পুরুষটি পাপিয়াদের কাছে ইজ্জতের বাক্সবন্দি হয়।

দিনশেষে, সময় হারিয়ে ঝামেলাকারী, অন্যের ক্ষতি চাওয়া নারী বা পুরুষটি আর্থিক, মানসিক, শারীরিক কোনো ভাবেই সুখী হতে পারে না। সংষ্কারে যা করা যেতে পারে – * এই ধরনের মামলায় তদন্তের আগ পর্যন্ত বাদী বিবাদী দু’জনকেই গ্রেফতার করা উচিত।* গ্রেফতারের আগে অবশ্যই পুরুষের বলাটা গুরুত্বসহ শুনতে হবে। * অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হলে, মিথ্যা অভিযোগ এর দায়ে আনুমানিক যাবত জীবন কারাদণ্ডের বিধান হতে পারে।* দোষীকে ভয়াবহ শাস্তি দিয়ে নিরপরাধকে যথেষ্ট আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেয়া উচিত।আইনে সমতা আনলে হয়তো হয়রানি বন্ধ হয়ে নারী পুরুষ সমানে সমানে সুন্দরের জন্য সামনে আগাবে। সুন্দরের আলোতে চকচক করবে বাংলাদেশ।

লেখাঃ মুরাদ নূর, সুরকার ও সংস্কৃতিকর্মী ।