সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়েছেন।
তিনি বলেন, আমরা সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছি ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
কিন্তু আমরা মনে করি, এখনো আমাদের ক্যাম্পাসগুলোতে কিছু সমস্যা রয়ে গেছে, সে কারণেই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাগুলো ঘটছে।
এর পেছনে ছাত্ররাজনীতির দায় আছে এটি যেমন সত্য, একইভাবে বিশ্ববিদ্যালয় বা সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রশাসনেরও দায়িত্ব রয়েছে।
যখন একজন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শারীরিক বা মানসিক যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে সেটি কিন্তু ফৌজদারি অপরাধ।
এক্ষেত্রে প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। দেখা যায়, সেটি প্রত্যাশিত মাত্রায় অনেক সময় হয় না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এক্ষেত্রে সোচ্চার হওয়া প্রয়োজন।
ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, অনেক সময় দেখা যায় আমাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের যে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক, পারস্পরিক সম্মান ও মর্যাদার জায়গাকে সম্মান করা-সেখানে কিছুটা ব্যত্যয় ঘটেছে।
এর পেছনে রয়েছে ক্যাম্পাসগুলোর দীর্ঘদিনের র্যাগিংয়ের সংস্কৃতি। এ কারণে আমরা মনে করি ক্যাম্পাস সংস্কৃতিতে কিছুটা পরিবর্তন প্রয়োজন। ‘এন্টি র্যাগিং মুভমেন্ট’ খুব জোরালোভাবে প্রয়োজন।অপরাধমূলক কাজে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের জড়ানোর বিষয়ে তিনি বলেন, অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, ইউনিট কমিটিগুলোর মেয়াদ অনেক বেশি হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে পর্যাপ্ত সাংগঠনিক সক্রিয়তা থাকে না।
যারা নতুন নেতৃত্বে আসার মতো রয়েছে, তারা প্রত্যাশিত প্ল্যাটফর্ম না পাওয়ায় সংগঠনবিরোধী ঘটনাগুলো ঘটিয়ে থাকে।
নিয়মিত কাউন্সিল করা সম্ভব হলে এবং নেতৃত্ব নির্বাচনের কাঠামো যদি সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারি তাহলে এই সমস্যাগুলো কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।
সাদ্দাম হোসেন বলেন, আরেকটা বিষয় হলো ছাত্র সংসদ নির্বাচন হওয়া। এই নির্বাচন হলে জবাবদিহিতামূলক ছাত্ররাজনীতি প্রতিষ্ঠিত হবে।
ছাত্র সংগঠনগুলো এবং এর নেতাদের মধ্যে শুভ কাজের প্রতিযোগিতা তৈরি হবে। সার্বিকভাবে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইতিবাচক পরিবেশ পরিস্থিতি তৈরি হবে।
যেকারণে আমি মনে করি ছাত্র সংসদের অনুপস্থিতিও অনেক সময় এ ধরনের নেতিবাচক ঘটনাগুলোর কারণ।
Discussion about this post