ছাত্রত্বের প্রায় এক দশক পূর্ণ হলো আজ। কে কোথায় আছেন, কতটুকু শিখেছেন, চলার পথে সফল কিংবা ব্যর্থ হয়েছেন কিনা— সবটুকু হিসাব নেওয়ার জন্য দশ বছর কিন্তু কম সময় নয়। প্রতিযোগিতার এই বাজারে চলতে হয় খুব হিসাব কষে। আর সেটা যদি হয় বলিউডের মতো বড় কোনো বাজার তাহলে তো কথাই নেই।
২০১২ সালের ১৯ অক্টোবর মুক্তি পায় করণ জোহর পরিচালিত ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার’ সিনেমাটি। এতে মুখ্য চরিত্রে অভিষেক ঘটে বরুণ ধাওয়ান, আলিয়া ভাট ও সিদ্ধার্থ মালহোত্রার। সেই নতুন মুখগুলো হয়েছে পুরনো। প্রত্যেকের ঝুলিতেই যুক্ত হয়েছে একাধিক ব্যবসাসফল সিনেমা।
ADVERTISEMENT
বরুণ ধাওয়ান

নির্মাতা ডেভিড ধাওয়ানের ছেলে বরুণ ধাওয়ানকে শুরুতে কেউই লম্বা রেসের ঘোড়া মানতে রাজি ছিলেন না। ভেবেছিলেন শিগগির ঝরে পড়ে যাবে এই ছেলে। বাবার জোরে সুযোগ পেয়েছেন করণের সিনেমায়। সমালোচকদের ভুল প্রমাণ করে ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের আলাদা অবস্থান তৈরি করে নিয়েছেন ‘বদলাপুর’ খ্যাত এই নায়ক। ‘এবিসিডি ২’, ‘সুঁই ধাগা’, ‘অক্টোবর’, ‘যুগ যুগ জিয়ো’, ম্যায় তেরা হিরো’সহ একাধিক ব্যবসাসফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। হাতে আছে ‘ভেড়িয়া’, ‘বাওয়াল’-এর মতো ভিন্নধর্মী সিনেমা।
আলিয়া ভাট


সিদ্ধার্থ মালহোত্রা
করণের তিন ছাত্রের মধ্যে সবচেয়ে মেধাবী ও উজ্জ্বল সম্ভাবনাময় হিসেবে ধরা হয়েছিল সিদ্ধার্থ মালহোত্রাকে। ‘এক ভিলেন’ সিনেমার ব্যাপক সাফল্য তাকে আলোচনার শীর্ষে নিয়ে আসে। কিন্তু মাঝখানে এই অভিনেতার ক্যারিয়ার কিছুটা পড়তির দিকে চলে যায়। গত বছর মুক্তিপ্রাপ্ত ‘শেরশাহ’ দিয়ে আবারও আসেন আলোচনায়। হাতে আছে বিমান ছিনতাই নিয়ে ধর্মা প্রোডাকশনের বিগ বাজেটের সিনেমা ‘যোদ্ধা’। এছাড়াও ‘পুস্পা’ খ্যাত রাশমিকা মান্দানার বিপরীতে তাকে দেখা যাবে ‘মিশন মজনু’ সিনেমাতে। মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে তার ‘থ্যাঙ্ক গড’ সিনেমাটি।
নিজের তিন ছাত্রকে মূল্যায়ন করে শিক্ষক (মেন্টর) করণ বলেন, ‘ওদের সঙ্গে আমার পারিবারিক সম্পর্ক। আমি যেমন আমার মায়ের সঙ্গে প্রতিদিন কথা বলি তেমনি ওদের সঙ্গেও বলি। সিনেমা বানাতে গিয়ে নিজেকে পিতৃসুলভ অভিভাবক মনে করি। বরুণ, আলিয়া, সিড তোমাদের তিনজনকেই ভালোবাসি।’
Discussion about this post