দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোয় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আসনসংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হাসপাতালসমূহের সেবা কার্যক্রম সংক্রান্ত এক সভা শেষে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন তিনি। এ দিন মন্ত্রী নিজেই ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা সিট (আসন) বাড়াচ্ছি। বেসরকারিতে সিট সাড়ে ছয় হাজারের মতো আছে। সরকারি মেডিকেল কলেজে সিট আছে সাড়ে চার হাজারের মতো।

ইতোমধ্যেই বেসরকারি মেডিকেল কলেজে আসনসংখ্যা বাড়ানো হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন আমরা আর সেভাবে বাড়াতে চাই না।


মন্ত্রী বলেন, সভায় বেশকিছু বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি। আমাদের মেডিকেল কলেজের শিক্ষা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা, নার্সিংয়ের শিক্ষা, ম্যাটস্ আইএইচটি- এই সবগুলোর বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি। আমাদের ল্যাবরেটরি যেটা প্রয়োজন, আধুনিকায়নের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
জাহিদ মালেক বলেন, আমরা শঙ্কিত যে, আমাদের শিক্ষকের হার খুব কম। প্রফেসর যা প্রয়োজন তার তুলনায় বাংলাদেশে বর্তমানে অর্ধেক আছে। আমরা এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করব। নতুন নিয়োগের মাধ্যমে, পদোন্নতি দিয়ে এবং ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে আমরা এটি পূরণ করার চেষ্টা করব। নতুন নতুন যেখানে মেডিকেল কলেজ হয়েছে সেখানেও শিক্ষক কম।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর একটা নির্দেশনা আছে- রিসার্চে গুরুত্ব দেওয়া। রিসার্চ আমাদের দেশে খুব কম হয়। আমরা রিসার্চের ওপরও গুরুত্ব দিয়েছি।’
শিশুদের টিকা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ১৮৬টি কেন্দ্রে শিশুদের টিকা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আমরা দেশবাসীকে বিশেষ করে অভিভাবকদের আহ্বান করছি- তারা যেন ৫ থেকে ১১ বছরের শিশুকে টিকাকেন্দ্রে নিয়ে আসে এবং টিকা দেয়।
বর্তমানে শিশুদের ৩০ লাখ টিকা হাতে আছে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, আরও এক কোটি টিকার প্রতিশ্রুতি পেয়েছি। টিকাপ্রাপ্তি সাপেক্ষে আমরা সারাদেশে টিকা কার্যক্রম করব। এটা চলমান থাকবে।
মন্ত্রী বলেন, ‘এক ডোজ করে যদি দেই, তাহলে আমাদের প্রায় আড়াই কোটি টিকা লাগবে। যেটা আমরা পর্যায়ক্রমে পাবো। আর কার্যক্রমও চলমান থাকবে।
Discussion about this post