
দেশের কিছু ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান দুর্বল হয়ে পড়েছে। তাদের শ্রেণিকৃত ঋণের মাত্রা, মূলধনের পর্যাপ্ততা, ঋণ-আমানত অনুপাত ও নিরাপত্তা সঞ্চিতি (প্রভিশনিং) বিবেচনায় দুর্বল ১০টি ব্যাংক চিহ্নিত করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর বলেন, ‘কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে ব্যাংকগুলোর সঙ্গে ওয়ান-টু-ওয়ান আলোচনা চলমান। কারণ, আমরা চাই না কোনো ব্যাংক বন্ধ হয়ে যাক। যেহেতু একটি ব্যাংক খারাপ হলে অন্যটির ওপর তার প্রভাব পড়ে। আমানতকারীর অর্থ ফেরতে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়। দুর্বল ব্যাংকের সঙ্গে বিশ্বের অনেক ব্যাংক ব্যবসা করতে চায় না। যার প্রভাব পুরো অর্থনীতিতে পড়ে। এ জন্য দুর্বল ব্যাংকগুলোকেও বাঁচিয়ে রাখতে কাজ করছি।’

গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, ‘আমি দুর্বল ব্যাংকগুলোর নাম বলতে চাই না। যেহেতু ব্যাংক শক্তিশালী না হলে দেশের অর্থনীতি সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকে না। এ জন্য এখনো অনেক ব্যাংক আস্থার সংকটের কারণে বড় ব্যাংকে ফি দিয়ে করেসপনডেন্ট ব্যাংক নিয়োগ করে ব্যবসা করছে।’

গভর্নরের মিট দ্য প্রেসে আরও উপস্থিত ছিলেন— ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল, কাজী ছাইদুর রহমান, আবু ফরাহ মো. নাছের, এ কে এম সাজেদুর রহমান খান, বিএফআইইউ প্রধান মাসুদ বিশ্বাস, নির্বাহী পরিচালক ও প্রধান অর্থনীতিবিদ হাবিবুর রহমান, নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম ও সহকারী মুখপাত্র নির্বাহী পরিচালক জি এম আবুল কালাম আজাদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
Discussion about this post